তথ্যানুসন্ধান রিপোর্ট: (প্রকাশের তারিখ: 31-Oct-2023)
ডেমরায় বোনের সম্পত্তি জ্বালিয়াতি
লিখে নিয়ে জোরপূর্বক দখলের পায়তারা
ঘটনা যেনে যাওয়ায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকি
ক্রাইম রিপোর্টার ডেমরা থানাধীন রানীমহল নার্গিস আক্তার ২০০৫ সালে আপন ভাই গিয়াস উদ্দিনের সহযোগিতায় সাড়ে ছয় কাঠা জমি ক্রয় করেন ২৪ লক্ষ টাকায়।জমিটি ক্রয় করার সময় নার্গিস বেগম ছিলেন কুরিয়ায় কর্মরত। ভাইকে বিশ্বস্ত ভেবে জমিটি ক্রয় করান নার্গিস, ক্রয় করার সময় গিয়াস উদ্দিন ছোটবোন নার্গিস কে না জানিয়ে তার নামে তিন কাঠা জমি গোপনে দলিল করে নেয় যা ছিল ভাই গিয়াস উদ্দিনের পরিকল্পিত প্রতারণা। ঘটনাটি নার্গিস দেশে এসে জানার পর ভাই গিয়াস উদ্দিনকে বললে গিয়াস উদ্দিন বলেন আমি তোমাকে ফেরত লিখে দিবো এই কথা বলে ২০১০ সালে আবারো জাল জালিয়াতি করে বাকি সাড়েতিন কাটা জমি নার্গিস থেকে প্রতারণা করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নার্গিস বলেন সে আমার আপন ভাই তাকে আমি বিশ্বাস করেছি, সে যেহেতু বলেছে আমার ভুল হয়ে গেছে আমি তোমার জায়গাটা তোমাকে ফেরত দেবো তাই বিশ্বাস করে আমি স্বাক্ষর করেছিলাম। তাছাড়া সে আমাকে রেজিস্ট্রি অফিসে নেয়নি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছিল আর যেহেতু আমার আপন ভাই সেহেতু তো অবিশ্বাস করার কিছু ছিল না। তাই বিশ্বাস করে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ঘরোয়াভাবে আমার একমাত্র চাচা বড় ভাই বড় বোন ছোট বোন বোনের ছেলে দুলাভাই মামারা সহ বারবার বসে ছিলাম প্রতিবার এসে বলেছে দু একদিনের ভিতর তোমাকে তোমার জায়গা লিখে দিব তোমার টেনশনের কিছু নেই।ভুক্তভোগী নার্গিস বলেন ঘরোয়া ভাবে বার বার বসে জায়গাটি তার কাছ থেকে ফেরত না পেয়ে আমি ডেমরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম নিজামীর সহযোগিতা কামনা করি তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে তার মধ্যস্থতায় ডেমরা থানায় বসে এস আই বিল্লাল আল আজাদ সহ উপস্থিত আমার দুলাভাই, বড় বোন, ছোট বোন, চাচা, মামা বড় ভাই এবং মধ্যস্থতাকারী সাংবাদিক সেলিম নিজামীর সামনে বলেছিলো তিনদিন পর জমিটি ফেরত দিবে। কিন্তু জমিটি ফেরত তো দেন নাই বরং আমাকে সন্ত্রাসী দ্বারা এই বাড়ি ছাড়া করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে যার বিষয়ে আমি ডেমরা থানায় ভাই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ করি। তাছাড়া আমার ভাই প্রতারক গিয়াস উদ্দিন যে দলিল আমার কাছ থেকে প্রতারণা করে লিখে নিয়েছে তার বিরুদ্ধে আদালতে দলিল বাতিলের মামলা দায়ের করেছি। আমি মর্মাহত এবং আতঙ্কিত আমার পাশে দাঁড়িয়ে সত্য তুলে ধরার কারণে আমার ভাই গিয়াস উদ্দিন আমার বাড়িতে বসবাস করা ছোট বোন পারভিন আক্তারের মোবাইলে ফোন করে বলেন সাংবাদিক সেলিম নিজামীকে হাত পা ভেঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হবে যা কোনভাবেই আমার কাছে কাম্য মনে হয়নি। বর্তমানে প্রতারক গিয়াসউদ্দিন এর বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় দায়ের করা অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন এসআই তহিদুল ইসলাম। এস আই তৌহিদ বলেন ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে বার বার গিয়াস উদ্দিনকে থানায় ডাকলেও আজকাল আসি আসবো বলে ঘুরাইতেছেন তিনি আসছেননা যদি না আসেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন আমার বোন টাকাও দিয়েছে জায়গাও পায় ঘটনাটি সত্য আপনারা মেহেরবানী করে লেখালেখি করবেননা আমি জমিটি দিয়ে দিবো।হুমকি পাওয়ার বিষয়ে ডেমরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম নিজামী বলেন সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে যদি হামলা মামলার শিকার হতে হয় এতে কিছু করার থাকে না তারপরেও আমি বলব ভাই গিয়াস উদ্দিন কর্তৃক প্রতারণা করে নেওয়া জমিটি ভুক্তভোগী নার্গিস ফেরত পায়। আমরা সাংবাদিক সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকি সেই ক্ষেত্রে নার্গিস আপার মতো ক্ষতিগ্রস্তের পক্ষেও থাকবো ইনশাল্লাহ।