০৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

নিজস্ব প্রতিবেদক: (প্রকাশের তারিখ: 05-Jun-2024)
অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর কোতয়ালী এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা রিপনসহ মোট ০৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদকদ্রব্য সরবরাহ ও ছিনতাইকারীসহ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। র‌্যাবের এই অভিযানিক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৪ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক রাত ২০:০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কোতয়ালী থানাধীন বাবুবাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ১। মোঃ রিপন (৩৯), পিতা-মোঃ মোজাম্মেল হক, সাং-দক্ষিণ বালিয়া, থানা-ভোলা সদর,জেলা-ভোলাসহ মোট ০৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অন্যান্য ব্যক্তিদের নাম ২। মোঃ নূর আমিন @ রাসেল (২৫), পিতা-মোঃ নূরনবী পাটোয়ারী, সাং-হকদী, থানা-ফেনী সদর,জেলা-ফেনী, ৩। মোঃ জাহিদ (২৭), পিতা-মৃত ইনছান হাওলাদার, সাং- নাজিরাবাগ,থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৪। মোঃ দুলাল (২২), পিতা-মোঃ খলিল ভান্ডারী, সাং-কালীগঞ্জ বাজার, শান্তপাড়া গলি, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা ৫। মোঃ রবিউল ইসলাম (২২), পিতা-মোঃ সদর মোল্লা, সাং-কবুতরপাড়া, কালীগঞ্জ বাজার, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৬। মোঃ নিরব হোসেন (২০), পিতা-মোঃ আনোয়ার মোল্লা, সাং-ইসলামাবাদ, থানা-কেরাণীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকা, ৭। মোঃ সাগর (১৯), পিতা-মোঃ জাকির হোসেন, সাং-বানাজোড়া, থানা-বাউফল, জেলা-বরিশাল বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ৪,৫২০/- (চার হাজার পাঁচশত বিশ) টাকা ও ০৭ টি লাঠি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর কোতয়ালী, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর