সন্দ্বীপে কুমারীর মৃতবাচ্চা প্রসব ও মৃত্যুর ঘটনায় ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন, অভিযুক্ত কালু জামিনে মুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: (প্রকাশের তারিখ: 07-Jun-2024)

এমদাদ হোসেন,সন্দ্বীপ

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মৃতশিশু প্রসবকারী  শিউলি নামের এক কুমারী মারা গেছে গত ৬ জানুয়ারি।   বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের  ঘটনায় অভিযুক্ত হয় প্রতিবেশি কালু নামের এক যুবক।এজাহারভুক্ত কালুকে গ্রেফতার দেখিয়ে তখনই  জেল হেফাজতে দেয় সন্দ্বীপ থানা পুলিশ। সে ঘটনায় অভিযুক্ত কালুর গত ৩ জুন সোমবার  জামিনে মুক্তির আদেশ দেয় আদালত। 

মৃত বাচ্চা প্রসবের চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পৌরসভা ০২নং ওয়ার্ডের তালুকদার মার্কেট এলাকায়।

 মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি গত বছরের ১০জুন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়। বিয়ের আশ্বাসে মেয়ে ও তাঁর পরিবার ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখে। এক পর্যায়ে প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসলে ধর্ষণের অভিযুক্ত মাহমুদ ওরফে কালু ও তাঁর পরিবার মেয়েটিকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটির পরিবার স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন রেখে ঔষধ খেয়ে বাচ্চাটি নষ্ট করে।

কালুর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তাঁর বোন পরিচয়ে এক মহিলা তখনই জানিয়েছিলেন, মেয়েটির চরিত্র ভাল না। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছেলেদের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল। কমপ্লেক্স এলাকার এক সওদাগরের সাথে তাঁর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এখন আমার ভাইয়ের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় ভিকটিম শিউলির মা বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করে।সন্দ্বীপ থানায় মামলা নং ০২। মামলায় অভিযুক্ত আসামি মাহমুদ ওরফে কালুকে ৭ জানুয়ারি রাতে সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দ্বীপ আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত ৫ দিনের মধ্যে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাঈন উদ্দিন ভূইয়া ডিএনএ টেস্টের সত্যতা নিশ্চিত করে  জানান, মামলাটি অত্যন্ত সেনসেটিভ হওয়ায় দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছিলাম। মৃত বাচ্চার ডিএনএ না মিলায় সম্ভবত তার জামিন হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর