রংপুরে প্রেম পথের কাঁটা বন্ধু সাদ্দামকে খুন করে মঞ্জুরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: (প্রকাশের তারিখ: 29-Jun-2024)

শরিফা বেগম শিউলী
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে ৮০ বছরের বৃদ্ধের তরুনী স্ত্রী শাহনাজের সঙ্গে প্রেম ছিল মঞ্জুরুলের। তার বন্ধু সাদ্দামও ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে বন্ধুকে এই পথ থেকে সরে যেতে বলেন মঞ্জুরুল। প্রথমে অনুরোধ, পরে শাসালেও কাজ হয় না। এভাবে ত্রিমুখী প্রেমের কারণে বন্ধু পরিণত হয় শত্রুতে। অবশেষে ‘পথের কাঁটা’ সরাতে সাদ্দামকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দেন মঞ্জুরুল। গত বুধবার রংপুর মেট্রোপুলিশের গোয়েন্দা ও হাজিরহাট থানায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য দেন ঘাতক। নিহত সাদ্দাম হাজির থানার ধনীপাড়া গ্রামের মৃত তহির উদ্দিনের ছেলে। আর মঞ্জুরুল একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ জানায় শাহনাজের সংসারে একজন ছেলে আর ৮০ বছরের বৃদ্ধ স্বামী। স্বামী ছেলে নিয়ে একায় বসবাস করেন দীর্ঘদিন থেকে।এই সুযোগ কাজে লাগায় মঞ্জুরুল। প্রায় রাতেই সে রাত্রী যাপন করেন শাহনাজের বাড়ীতেই। এদিকে সাদ্দামও পরকিয়ায় জরিয়ে পরে শাহনাজের সাথে। ঘটনার দিন মঞ্জুরুল শাহনাজের ঘড় থেকে বেড়িয়ে দেখে সাদ্দাম উঠানে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পরে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং পরে এক পর্যায়ে শাহনাজ তাদের দুজনকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। পরে মঞ্জুরুল ফাঁকা স্থানে গিয়ে আচমকা সাদ্দামের হাতে থাকা ছোড়া কেড়ে নিয়ে সাদ্দাম কে এলোপাতাড়ি কোপ মারে। এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে সাদ্দামের লাশ পাশের একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে চলে যায়।পর ২৬ জুন ক্ষেত থেকে সাদ্দামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৭জুন হাজিরহাট মেট্রোপলিটন থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটি উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফের সার্বিক সহযোগিতায় গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহ্‌ নুর আলম পাটোয়ারী ও সহকারী এসি পশুরাম জোন আল ইমরান ও রজব আলী অফিসার্স ইনচার্জ হাজির হাট থানা ছাড়াও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ২৪ঘন্টার মধ্যে এই ক্লুলেস হত্যা মামলার সাথে জড়িত দুইজন গ্রেফতার করে।এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

এই বিভাগের আরো খবর