নিজস্ব প্রতিবেদক: (প্রকাশের তারিখ: 07-Sep-2024)
মুক্তার হোসেন একজন কল মিস্ত্রি করেন লাইসেন্স বিহীন অধিক মুনাফায় গুন্ডি সুদের ব্যবসা, খেলেন জুয়া,ছিলেন মাদকাসক্ত পুরো পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত মুক্তার নিজেও আজমত আলীর হাত ধরে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার হাতে নৌকার ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে যোগদেন আওয়ামী লীগে।জুয়া খেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলে গিয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বলেন বিএনপি'র মামলায় জেলে এসেছি যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর ডেমরা থানায় পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে বসে বসে শহিদুল ইসলাম কন্টাকটার, হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে সজল মোল্লা, শ্যামল মোল্লা ও হাবিবুর রহমান মোল্লার ভাই মাহবুবুর রহমান মোল্লা নির্দেশে বিএনপি জামায়াতের নেতাদের ধরার জন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করতো। বিএনপি নেতা পরিচয় দানকারী আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার শুধু তথ্য দিয়ে বিএনপি জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষান্ত হয়নি ওয়ারী বিভাগের রক্ত পিপাসু খুনি হাসিনার সহচর ছাত্র জনতা হত্যাকারী নরপশু ডিসি ইকবালের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। বিএনপি জামায়াতের নেতাদের গ্রেফতার নিশ্চিত করতে ডিসি ইকবালের সামনে বসেই পরিচিত নেতাদের ফোন দিয়ে অবস্থান নিশ্চিত করে তাদের ধরিয়ে দিতেন। বিএনপি ও জামাতের মিছিল মিটিংয়ে গিয়ে তাদের সাথে ছবি তুলে সুনির্দিষ্ট করে দিতেন কারা কারা মিছিল মিটিংয়ে যেতেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৫ই আগস্ট পালনের জন্য দিতেন খিচুড়ির টাকা আওয়ামী লীগ অফিস ও অঙ্গসংগঠন পরিচালনার জন্য দিতেন নিয়মিত চাদা। ২০২৪ এর নির্বাচনে তিনি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সজল মোল্লার ট্রাকের নির্বাচন তার স্ত্রী করেছেন সরাসরি হারুনুর রশিদ মুন্নার নৌকা মার্কার নির্বাচন। ৫ই আগস্টে খুনি হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি এখন হয়ে গেছেন বিএনপি'র কথিত নেতা। গড়ে তুলেছেন লুটতরাজ, চাঁদাবাজ,ও কিশোর গ্যাং বাহিনী যাদের কাছে রয়েছে অসংখ্য দেশীয় অস্ত্র । তার নেতৃত্বে রয়েছে এনায়েত ওরফে , ছিনতাইকারি,এনায়েত যিনি ৮বছর ছিলেন যুবলীগ নেতা ইকবালের সহচর। ইকবালের কাছে থাকা অবস্থায় হেন অপকর্ম নেই যা করেনি আওয়ামী লীগ কর্মী এনায়েত। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ছিনতাই ডাকাতি ও মাদক মামলা। তার বাহিনীতে রয়েছে কানা আলামিন যার বিরুদ্ধে ১৫ টির উপরে রয়েছে মাদক মামলা আলামিন আগে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজ প্রদান ও শান্তার নেতৃত্বে সকল অপকর্ম লিপ্ত ছিল। ৫ই আগস্ট সরকার পট পরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এমপি গাজী গোলাম দস্তগিরের (গাজী গ্রুপের) টায়ার ফ্যাক্টরিতে মুক্তারের বাহিনী ও তার একান্ত সহযোগী হোসেন ওরফে সুদখোর হোসেন এর নেতৃত্বে ব্যাপক লুটপাট করা হয়। এলাকার অনেকের দাবি তার বাহিনী দ্বারা ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করা হয় যা কোনভাবে কাম্য না। তার বিরুদ্ধে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার প্রমাণ রয়েছে জাতীয় একটি দৈনিকের সম্পাদকের হাতে। আওয়ামী লীগ করা পুরো পরিবারের সদস্য যেমন তার বড় দুই বোন রশিদ মাস্টারের হয়ে নৌকার নির্বাচন করেছে ভাই আলিমুদ্দিন সারুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কন্টাক্টরের সাথে ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাচ্ছে তার স্ত্রী প্রকাশ্য নৌকা নির্বাচন করেছে এখন সে হয়েছে বিএনপি নেতা এটা দলের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্য বলে মনে করেন সাধারণ বিএনপি'র সমর্থক নেতাকর্মীর অনেকে । এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন দলের ভিতরে বিশৃঙ্খলাকারী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, লুটতরাজ কারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের স্থান নেই তারা আওয়ামী লীগের ধূসর এবং বিএনপির শত্রু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই কথিত বিএনপি নেতা মুক্তার বলেন আমি নবী উল্লাহ সাহেবের ডান পাশের চেয়ারে বসি নবিউল্লা ভাই আমার নেতা এমন উক্তির বিষয়ে বিএনপি'র পরীক্ষিত নেতা নবী উল্লাহ সাহেবের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন মুক্তার কে আমি তাকে ভালোভাবে চিনি না। আপনারা যানেন আমাদের দলে কোন অপরাধীর স্থান নেই হবে না ঢাকা ০৫ এর মাটি বিএনপির ঘাঁটি এই কথাটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। তিনি আরো বলেন আমি দলীয় নেতা কর্মীর মাধ্যমে খোঁজখবর নিব এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসংখ্য অভিযোগে অভিযুক্ত মুক্তার হোসেন এর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন আসলে সকল অভিযোগ সত্য নয় তবে আমার ভাই বোন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাসী আর এনায়েতকে রেখেছি আমার ব্যবসা-বাণিজ্য দেখার জন্য। আল আমিন মাদক বেচে কিনা সেটা আমার জানা নেই। কিশোরগ্যাং বলতে ওই সমস্ত কোন বখাটে ছেলে আমার সাথে নেই। আপনি বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে গালি দিয়েছেন কেন উত্তরে বলেন এটা আপনারা বুঝবেন না । সরকার পতনের পর আপনি লোকজন দিয়ে গাজী টায়ার সহ বিভিন্ন জায়গায় লুটতরাজ করেছেন কেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আসলে পোলাপান করেছে এটা আমার কিছু করার ছিল না ওই সময় সবাই সুযোগ বুঝে করছে। আর বিশেষ করে এটা হোসেন ভালো বলতে পারবে কারণ গাজী টায়ার ফ্যাক্টরি থেকে নিয়ে আসা মালামাল গুলো তার কাছে রাখা হয়েছিল। তার বিষয়ে এলাকার ক্ষুদ্দ বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন মুক্তার বখাটে লোক, এলাকায় ন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে আমরা তার বাহিনী কতৃক লুটতরাজ করা মালামাল যৌথ বাহিনী কতৃক উদ্ধার সহ তার গ্রেফতার দাবী করছি। অন্যদিকে বিএনপি সহ সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গালিগালাজ করার দায়ে ক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ছাত্র-জনতার হয়ে তার বিরুদ্ধে খুব দ্রুত মামলা করবেন বলে জানা যায়।
বিস্তারিত চোখ রাখুন আগামী সংখ্যায়