জনতা ব্যাংকের সিবি এ সাধারণ সম্পাদক আনিছুর দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদ উপার্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: (প্রকাশের তারিখ: 28-Sep-2024)
জনতা ব্যাংকের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সে প্রতিদিনই আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা দিয়ে ছাত্রদের উপর হামলা করছে বলেও জানা গেছে। তিনি ২৭শে জুলাই থেকে ৪ আগষ্ট পর্যন্ত নিয়মিত মতিঝিল শাপলা চত্বর ও শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রতিদিন তিন থেকে চারশত লোক নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তেন ছাত্র-জনতা উপর।

এসব অভিযোগ করেন, আনিছুর রহমান (খোকনের)সহকর্মীরা। জনতা ব্যাংকের তৃতীয় শ্রেণির পদে চাকরি করা কর্মচারী, আওয়ামী লীগ শ্রমিক লীগের নেতা আনিছুর রহমান খোকনের অত্যাধুনিক বাড়ি, প্লট ও খালি জমি, ব্যাংকে কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র আছে বলে জানা গেছে। এছাড়া নামে-বেনামে রয়েছে শত কোটি টাকা সম্পত্তি রয়েছে বলেও জানা গেছে। এক সময়ে গাড়ির হেলপার থেকে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি নেয়া আনিছুর রহমান (খোকন) বর্তমানে জনতা ব্যাংকের সিবি এ সাধারণ সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সমন্বিত দুর্নীতি দমন (দুদক) সেগুনবাগিচা, কার্যালয়ে অভিযোগে সূত্রে পাওয়া গেছে।

ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের সময় কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ, জনতা ব্যাংক কর্মচারী সংসদ সিবিএ কার্যালয়ের পঞ্চম তলায়, অফিস জনতা ব্যাংকের অস্থায়ী মাঠ সহকারীদের স্থায়ীকরণ করবেন বলে সারা বাংলাদেশ থেকে কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে যার বেশিরভাগ এপিশোড এগ্রো জনতা প্রধান শাখা ঢাকাতে, জমা হয়েছে। এগুলো করে ২০১৫ সালে থেকে ২০২৪ সালে জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে হয়েছেন শত কোটি টাকার মালিক ও সম্পদের পাহাড় ডেমরায় ডগাই নয়া কাটা ব্রিজে সংলগ্ন নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন ৩ টি বহুতল বাড়ি, ৩ টি প্লট, ৪ টি ফ্ল্যাট ও কোনাপাড়ায় মার্কেট ২ টি দোকান ও ফ্লাট।

এছাড়াও রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় রয়েছে রাজকীয় একটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট ও রয়েছে বিলাস বহুল ২ টি গাড়ি এর পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন আবাসন ব্যবসা, হিসাব দ্বয়ের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকে পদোন্নতি/বদলি/প্রশাসনিক কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে অরাজকতা সৃষ্টি, ব্যাংকের সকল নির্বাহী কর্মকর্তাদের জিম্মি করে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের এই নেতা অবৈধভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপর্জন করছেন। তার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। শীঘ্রই তিনি অবসরে চলে যাচ্ছেন। তার অবসরে যাওয়ার পর তার সিবিএ সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বর্তমানে নানাভাবে দরকষাকষি চলছে।

এ বিষয়ে কথা বললে জনতা ব্যাংকের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক। শ্রমিক লীগের আনিছুর রহমান (খোকন) দৈনিক সকালের সময়’কে জানান, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন (দুদক) কমিশনে একটি অভিযোগ হয়েছিলো অনেকদিন আগে তবে আপনারা চাইলে অনেক কিছুই হতে পারে একটি গোপন শর্তে জানা যায় যে কোন মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে আনিছুর রহমান খোকন।

বিগত ৭:৩০ মিনিটের সময় ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে : সাং ডগাইর মধ্যপাড়া ৬৬ নং ওয়ার্ড ডেমরা থানা এলাকায় স্থানীয় রুবেলের মাধ্যমে সংবাদ কর্মীদের মোবাইল ফোনে ডেকে নেন আনিছুর রহমান খোকন পরবর্তীতে সংবাদ প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ লেনদেনের প্রস্তাব করেন

এই বিভাগের আরো খবর