নিজস্ব প্রতিবেদক: (প্রকাশের তারিখ: 20-Oct-2024)
ডেমরায় দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ ও প্রতারণা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের রশিদ মাস্টারের বিরুদ্ধে দুদক’কে অভিযোগ
ডেমরা প্রতিনিধি,
রাজধানীর ডেমরা পশ্চিম টেংরা, সারুলিয়া এলাকায় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ মাস্টার (৪৫) এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশন ‘দুদকে’ গত-১৭ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ হয়েছে। জনস্বার্থে এক সংবাদকর্মী এই অভিযোগ করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে জানা গেছে। অভিযোগের বিবরণের জানা যায়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ও আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ মাস্টার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। তিনটি বাড়ির মালিক এই আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন বাড়িগুলোর মধ্যে, এম এ রশিদ মাস্টার কমপ্লেক্স নামে ১০ তালা- বাড়ি নং ২৯৫, পশ্চিম টেংরা, সারুলিয়া, ডেমরা। মাস্টার মঞ্জিল ৫ তালা- বাড়ি নং ৭০, পূর্ব সারুলিয়া ডেমরা, রূপগঞ্জ থানা এলাকা রয়েছে আরও ১টি বাড়ি। রশিদ মাস্টারের বৈধ কোন ব্যবসা নেই। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে বহু মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, রশিদ মাস্টার মানুষের সাথে ফ্ল্যাট বিক্রি করার নামে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
দুর্ধর্ষ আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীরা আইনের কোনো সহযোগিতা পায়নি। সে সব সময় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম (মনু)’এর ছত্রছায়ায় ছিল। তার পরবর্তীতে হারুন অর- রশিদ (মুন্না)’র সাথে রাজনীতি করেছে, সে একজন বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে কিভাবে এত বাড়ির সম্পত্তির মালিক হলো সেটা ভাবার বিষয়। বর্তমানে সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে ভোক্তাভোগীরা।
এ বিষয়ে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ মাস্টারকে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, দুদকের চেয়ারম্যান আমার, দুদকে আমার ভাই ব্রাদার আছে, দুদকের চেয়ারম্যান আমি নিজেই বানাই। যারা রাজনীতি করে তার ভিতরে আমি রশিদ মাস্টার সলিড আমি এক নাম্বার রাজনীতি করেছি। আর যারা রাজনীতি করে তারা সবাই দুই নাম্বার। বাড়ির বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আল্লাহর রহমতে আমি যেই টাকা কামাই নিয়েছি, তা দিয়ে আরো অনেক কিছুই করা যাবে।